সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহঃ
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষক : শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী : শ্রেণিকক্ষের অনুপাত হ্রাসকরণের লক্ষ্যে এ জেলায় নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ ৩৪৮ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। বাস্তব চাহিদার আলোকে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে ৬২৫ টি দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃজন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩৭ নলকূপ স্থাপনসহ ১১০ টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যের মোট ৩৫১৯৮৭৭ খানা বই বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, ঝরে পড়া রোধসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ৪১৯৭৬০ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি ৯৬৪৩৪ জন । ১১৫৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখবে প্রতিটি শিশু (ইসিএল) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিকেন্দ্রীকরণে ১১৫৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP)’ বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় প্রতি বাৎসরিক সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা হতে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। । ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে তবে করোন পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি । গত ২০১৭ হতে ২০১৯ পর্যন্ত খুলনা জেলায় সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার যথাক্রমে ৯৬.১১%, ৯৮.৫৭% এবং ৯৫.৯২%। ২০১২ সাল হতে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামন্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। একই সাথে খুলনা জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোন পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়নি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS